Tag Archives: জনতার রায় সত্যি হল!

জনতার রায় সত্যি হল!

Fulজয়তু শাহবাগ! জয়তু বাংলাদেশ! সারাদেশ জুড়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে চলমান আন্দোলনের প্রথম বিজয়।

বিজ্ঞ মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনাল-১ একাত্তরের ঘাতক দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় দিয়েছে। ২০টি মামলার ৮টিতে সাঈদী দোষী সাব্যস্ত হন। এর মধ্যে ৮ ও ১০ নম্বর মামলায়  সর্ব্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির রায় দেওয়া হয়।

ট্রাইবুনাল জানান, এই দুই অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়ায় বাকিগুলোতে আর সাজা দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

এটি একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তৃতীয় ও এই ট্রাইব্যুনাল থেকে দেওয়া প্রথম রায়। রায়টি ছিল ১২০ পৃষ্ঠার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর ৩(২) ধারায় সাঈদীর বিরুদ্ধে যে ২০টি অভিযোগ গঠন করা হয় তার মধ্যে রয়েছে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা ও বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন এবং তাতে সহযোগিতা করা। মানবতাবিরোধী অপরাধগুলোর মধ্যে রয়েছে হত্যা, অপহরণ, আটক রাখা, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও ধর্মান্তর করা এবং এ ধরনের অপরাধে সহযোগিতা করা।

সাঈদীর বিরুদ্ধে গঠন করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিন হাজারেরও বেশি নিরস্ত্র ব্যক্তিকে হত্যা বা হত্যায় সহযোগিতা, নয়জনের বেশি নারীকে ধর্ষণ, বিভিন্ন বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাঙচুর এবং ১০০ থেকে ১৫০ হিন্দুকে ধর্মান্তরকরণে বাধ্য করার ২০টি ঘটনার অভিযোগ আনা হয়।

যে দুটি অভিযোগে ফাঁসি হল

৮ম অভিযোগ: ৮ মে ১৯৭১। দুপুর ৩টার দিকে তারা মানিক পশারীর বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকে মফিজ উদ্দিন ও ইব্রাহিম কুট্টিকে আটক করে নিয়ে আসেন। এরপর মানিক পশারীর বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। আটককৃত মফিজ উদ্দিন ও ইব্রাহিম কুট্টিকে নিয়ে এসে পাড়েরহাট বন্দরে ইব্রাহিম কুট্টিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আর মফিজউদ্দিনকে রাজলক্ষী হাইস্কুলের রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে পালিয়ে আসেন মফিজ উদ্দিন।

১০ম অভিযোগ: ২ জুন ১৯৭১। সকাল ১০টার দিকে সাঈদীর নেতৃত্বে সশস্ত্র দল উমেদপুর গ্রামের হিন্দুপাড়ার ২৫টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। সাঈদীর ইন্ধনে বিসাবালী নামের একজনকে নারিকেল গাছের সাথে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়।